Make money by Ojooo

Thursday, November 16, 2017

একটি অপদার্থ বালকের গল্প :
লেখক ফয়জুল হক
--------------------(- _- )------------------
আমি মনসুর ছোট বেলায় আমার খুব পাখি মারার শখ ছিল, প্রতিদিনই পাড়ার ছেলেদের সাথে পাখি মারতে চলে যেতাম। সেখানে নানান ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করতাম। তার মধ্যে একটা হলো বাড়ির পাশের ছোট খালের মধ্যে জমাট বাধা পানি চারিদিকে উচু করে মাটির আইল তৈরি করতাম যাতে পাখি পানি খেতে না পারে, আর এক অথবা দু দিক থেকে খোলা রেখে সেখানে ইঁদুর মারার কল অদৃশ্য করে পুতে রাখতাম আর সেখান দিয়ে যখন পাখিটি পানি খেতে যেত তখনই আটকা পরে যেতো। তবে প্রতিদিন পেতাম না আর পেলেও আমার ভাগেরটা বাড়ি পর্যন্ত আনার সাহস হতোনা। কারন আমার বাবা ছিলেন খুব রাগী টাইপের মানুষ পরিবারের একমাত্র ছেলে বিদায় আমার প্রতি সবার কড়া নজর থাকতো। অার রাতে পড়তে বসতাম তখন শুধু ভাবতাম লেখাপড়া অাবিস্কার যে করেছে তাকে হাতের নাগালে পেলে আচ্ছা করে বুঝিয়ে দিতাম, বেটা ফাজিল। এই রকম আরো কতো গালাগাল। বিশেষ করে রাতে পড়তে বসার পর বাবা জিজ্ঞেস করতো তোদের গণিত স্যার আজকে কোন কালারের শার্ট গায়ে দিয়ে স্কুলে গিয়েছিল?? তখন আমি বাবার কাছে ধরা খেয়ে যেতাম যে আমি স্কুলে যাইনি। আর বাড়িতে পাখি আনলেতো বুঝেই ফেলবে যে স্কুল চুরি করেছি। কোনদিন বাবার মন ভালো থাকলে বলবে বাবা লেখাপড়া না করলে কখনো ভাল কিছু করতে পারবিনা স্কুল চুরি করিসনা মন দিয়ে পড়াশুনা কর। আর যদি মেজাজ খারাপ থাকে তাহলে আর কি! যা হওয়ার তাই হয়। কতক্ষণ কান্নাকাটি করে না খেয়ে ঘুমিয়ে পরতাম। স্কুলে খুব দুস্টুমি করতাম বলে স্যারেরাও অনেক মারতেন আর স্টুডেন্ট হিসেবেও ছিলাম একবারে লাস্ট ব্রেঞ্চের কিছুই পারতামনা। আর আমি পড়াশুনা করলেইতো কিছু পারবো!
যাই হউক পরীক্ষার সময় কোন রকম দেখাদেখি করে পরীক্ষা দিলেও রেজাল্টের সময় ২ / ৩ বিষয় ফেইল থাকতাম। স্যারদের সামনে বাবার বকুনি খাওয়ার পর স্যার বলতেন ঠিক আছে এবান প্রমোশন দিয়ে দিচ্ছি ভাল করে পরবে। যাক এমনি ভাবে টেনে টুনে ইন্টার পাশ করার পর হঠাৎ একদিন বাবা অসুস্থ হয়ে গেল। প্যারালাইসিসে একটি হাত ও পা অবস হয়ে যায়। পরিবারের সকল দায়ীত্ব আমার উপর চলে আসে। কিন্তু আমাকেতো বাবা কোনদিন কোন কাজ করতে দেয়নি, আমি এখন কি কাজ করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। কিছুদিন পাশের বাড়ির কাকার সাথে বিল্ডিং এর কাজ করলাম কিন্তু সারাদিন কাজ করার পর ৪০ টাকার উপরে তিনি দিতেননা। বাড়িতে মানুষ এসে মা এবং বাবাকে কথা শুনাতো তুমার পুলা না হইয়া যদি মেয়ে হইতো তাও ভাল ছিল এই ছেলে তুমাদের রোজগার করে খাওয়াবে এটা কোনদিন ও আশা কইরোনা। নানান মানুষের নানান কথা শুনতে শুনতে তারাও অব্যস্ত হয়ে গেছে। যাক পরে একদিন বাবা আমাকে রাতে খাবারের সময় বলছে এমনে আর কতদিন চলবি এবার কিছু একটা কর? কিন্তু আমি চুপ করে রইলাম তখন মা বাবার সাথে সুর মিলিয়ে আমাকে বললো উত্তর পাড়ার মফিজ ব্যাপারি বলছে হাওরের জমিটা তার নামে লিখে দিলে সে তোকে বিদেশে পাঠাবে। কিন্তু বাবা কত কস্ট করে এই জমি কিনেছে তা আমি জানি তবুও আমি কিছু বললামনা।বাবার সিদ্ধান্ত আমি উপেক্ষা করলামনা। কিছুদিন পর আমাকে পাসপোর্ট করার জন্য পাঠালো সকল প্রসেসিং শেষ হওয়ার পর কোন এক তারিখে আমাকে সৌদি আরবের এ পাঠিয়ে দিলো। বিদেশে আসার পর নতুন দেশ নতুন আমি এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা ।কিন্তু অামি থমকে যাইনি আমি প্রথমে গাড়ি ধোয়ার কাজ শুরু করলাম সামান্য কিছু বেতনে কিন্তু কিছুদিন পরেই লোকটি আমাকে বের করে দিলো এবং অন্য জায়গায় কাজ নিতে বললো। আবারো প্রমাণ হলো সত্যিই আমি একজন অপদার্থ। এলাকার এক চাচার বাসায় উঠলাম কিছুদিনের জন্য, কিন্তু ওনার রুমমেটরাও কানাকানি করতে লাগলো যে কতদিন থাকবে হেনতেন। কত বেলা যে না খেয়ে রাত কাটিয়েছি তা বলা মুশকিল এবং ঐ রুমের প্রতিটা বালু কনাই আমার চোখের জলের স্বাদ অনুভব করেছে তা আমি ছাড়া কেউ জানেনা। কিন্তু আমি হাল ছারিনি ৩ বছরে যে কত কাজ করছি তার কোন হিসেব নেই। কিন্তু টাকা পাঠিয়েছি মাত্র ১লাখ। পরে সিলেটের এক ভাইয়ের পরামর্শে রাস্তার পাশে বালতি নিয়ে গাড়ি ধোয়ার কাজ শুরু করলাম। এবং বাড়িতে বাবা মাকে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছি তাতেই বাবা মা খুশি সেই অকর্মা ছেলেটি এখন টাকার পেছনে হন্য হয়ে দৌড়াচ্ছে। ধীরে ধীরে আমার অবস্থা পরিবর্তন হতে শুরু করলো। একদিন এক সৌদি আমাকে বললো আমার একটা গাড়ির মাকসালা আছে তুই যদি কাজ করস আমি চালু করে দিব। তার কথা মত সেখানে কাজে যোগ দিলাম এবং অাল্লাহর অশেষ কৃপায় এখন আমার ৫টা গাড়ি ধুয়ার মাকসালা সহ বহুজাতের ব্যাবসা রয়েছে।
অামার জীবন থেকে সব থেকে বড় শিক্ষনীয় বিষয় হলো যত কঠিন সমস্যাই হউক না কেন তা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহ নিশ্চয় কষ্টের পরে সুখ রেখেছে।
(ঘটনাটি পুরোপুরি কাল্পনিক কারো জিবনের সাথে মিলে গেলে লেখক কোন ভাবেই দায়ী নয়)

Monday, October 9, 2017

ব্লু হুয়েল থেকে বাঁচার জন্য কি করবেন?

ব্লু হোয়েল গেম এর ৫০ টি ট্যাস্ক যা আপনাকে সুইসাইড পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এই খেলার সমাপ্তি ঘটবে খেলোয়াড়ের মৃত্যু দিয়ে।
Blue Whale 


এর থেকে বাঁচতে কি করা যায়?


১। প্রথমত চাই আপনার সচেতনতা। কেন আপনি অপরের নির্দেশনায় যাকে আপনি কখনও দেখেন নি, যার পরিচয় জানেন না তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিবেন!

২। এই রকম কোন লিংক আসলে তাকে এড়িয়ে চলা। সমাজের তরুন ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মাঝে এই গেমের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বলা।

৩। আপনার সন্তানকে মোবাইলে ও কম্পিউটারে অধিক সময়ে একাকী বসে থাকতে দেখতে সে কি করছে তার খোঁজ খবর নেয়া। সন্তানকে কখনও একাকি বেশি সময় থাকতে না দেয়া এবং এই সব গেমের কুফল সম্পর্কে বলা।

৪। সন্তানদের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মানসিকতা সৃষ্টি করা। যাতে করে তারা বুঝতে পারে আত্মহত্যা করা বা নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করা অনেক বড় পাপের কাজ।

৫। আপনার সন্তান ও পরিবারের অন্য কোন সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কি না সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা। কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয় তাকে সঙ্গ দেয়া।

৬। কৌতুহলী মন নিয়ে এই গেমটি খেলার চেষ্টা না করায় ভালো। কৌতুহল থেকে এটি  নেশাতে পরিণত হয়। আর নেশাই হয়তো ডেকে আনতে পারে আপনার মৃত্যু।

অতএব, দয়া করে এই গেমটি কেউ খেলবেন না, কাউকে খেলতেও দেবেন না।

 @ডিএমপি ওয়েব সাইট থেকে....

অারো পড়ুন - https://best21blog.blogspot.com/2017/10/blog-post_8.html?m=1



Sunday, October 8, 2017

মরন ঘাতক গেইম ব্লু হুয়েলের রাজ্যে তরুণ-তরুণীরা

মরন ঘাতক গেম "ব্লু হোয়েল"!!

ব্লু হোয়েল ' গেম ওপেন করা মাত্র আপনাকে একজন এডমিন পরিচালনা শুরু করবে । আপনাকে জিজ্ঞেস করবে - ' গেমটি খেলা শুরু করলে আপনি কোনোভাবেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না , আপনি সর্বশেষে মৃত্যু বরণও করতে পারেন , আপনি কি চ্যালেন্জ গ্রহন করতে আগ্রহী? '
Blue Whale 


 আপনি ইয়েস বা নো অপশনের মধ্যে ' ইয়েস ' অপশন ক্লিক করা মাত্রই পা দিয়ে দেবেন মৃত্যু ফাঁদে। গেমটির প্রথম দশটা লেভেল খুবই আকর্ষনীয় । ইউজার এডমিন কিছু মজার মজার নির্দেশনা দেন - যেমন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে হরর ছবি দেখা , চিল্লাচিল্লি করা , উঁচু ছাদের কিনারায় হাঁটাহাঁটি করা , পছন্দের খাবার খাওয়া ইত্যাদি নির্দেশনা দিতে দিতে এডমিন হাতিয়ে নেবেন আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন। প্রথম দশ টা লেভেল পার করার পর আপনাকে তৈরি করা হবে পরবর্তী দশটি লেভেলের জন্য। পনেরো লেভেল পর্যন্ত চলবে আপনার ইনফরমেশান হাতানোর কাজ! পনেরো লেভেলের পর আপনাকে কঠিন মিশন দেয়া শুরু হবে ! যেমন অ্যাডমিন আপনাকে বলতে পারে আপনার হাতে ব্লেড দিয়ে নীল তিমির ছবি আঁকুন! প্রথম বিশটা চ্যালেন্জ অতিক্রম করার পর অ্যাডমিন তার কৌশল পরিবর্তন করতে শুরু করে। আপনি টেরই পাবেন না প্রথম বিশ ধাপে সংগ্রহ করে ফেলা আপনার তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে মোহাক্রান্ত বা হিপনোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু করা হবে। আপনি তখন ভাববেন এই গেম ছাড়া আপনার বেঁচে থাকা অসম্ভব। আপনাকে শীতের দিনে খালি গায়ে ঘুরতে বলা হবে , বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করা , বন্ধুর মোবাইল চুরি করা , আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটার সাথে দুর্ব্যবহারের মিশন দেয়া হবে আপনাকে ! আবার এসবের প্রমাণের ছবি বা ফটো এডমিনকে পাঠাতে হবে আপনার ! এভাবেই কৌশলে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের থেকে কৌশলে আলাদা করে ফেলা হবে আপনাকে এবং আপনি পৌঁছে যাবেন পঁচিশ লেভেলে! পঁচিশ লেভেলের পর নির্দেশনা আসবে মাদক বা ড্রাগ নেবার ! এভাবেই সম্মোহিত করে করে আপনাকে তিরিশ লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। তিরিশ তম লেভেল আপনি অতিক্রম করার পর গেম এডমিন হঠাৎ আপনার সাথে একটু চিট শুরু করবে !একত্রিশ তম লেভেল আনলক করবে না , এদিকে আপনি হয়ে উঠবেন ক্রেজী ! তারপর কিছুদিন আপনাকে সারপ্রাইজ দিয়ে হঠাৎ এডমিন - বলবে একত্রিশ তম লেভেল আনলকড ! আপনার নগ্ন ছবি চাওয়া হবে এই স্তরে ! আপনি হিপনোসিস ও মাদকের কারণে নিজের নগ্ন ছবি পাঠাতেও চিন্তা করবেন না , ড্রাগ নেবার র মাত্রা বাড়াতে থাকবেন আপনি ! এরপর নির্দেশনা আসবে আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে সেক্স করে গোপনে ছবি তুলে আপলোড করতে বা নিজের শরীরে একাধারে শ খানেক সুঁই ফোটাতে এবং ফটো আপলোড করে পাঠাতে । এভাবেই চলে যাবেন আপনি চল্লিশ তম লেভেলে ! এবার আপনি ভীত হয়ে গেমার টিমকে অনুরোধ করবেন আপনাকে মুক্তি দেবার জন্য ! আপনি কাঁদবেন , হাতজোড় করবেন , চাইবেন গেমটি আনইনস্টল
https://best21blog.blogspot.com/2017/08/neymar-jr-why-transferred-from-fcb-to.html?m=1   করার জন্য ! তখন শুরু হবে ব্ল্যাকমেইলিং ! গেমার টিম বা এডমিন তখন আপনারই পাঠানো সকল তথ্য ফাঁস করে দেবার হুমকি দেবে , আপনি বাধ্য হয়ে প্রবেশ করবেন একচল্লিশ তম স্তরে ! একচল্লিশ থেকে ঊনপন্চাশ তম লেভেলে আপনি প্রচন্ড হতাশ আর মাদকাসক্ত হবেন ....... পন্চাশ তম স্তরে আপনাকে মুক্তির শর্ত দেয়া হবে ! বলা হবে আপনাকে নিজের শরীরে অ্যানাসথেসিয়ার ড্রাগ ক্যাটামিন পুশ করে তাদের কে ছবি পাঠাতে এবং নিশ্চিত দশ তলার চেয়েও উঁচু কোনো ছাদের একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে যদি সেলফি আপলোড দিতে পারেন তবে আপনি মুক্ত ! আপনি সেটা পারবেন না আর , কারণ শরীরে পুশ করা ক্যাটামিন আপনার মস্তিষ্কে চলে যাবে ততোক্ষণে ! আপনি মোবাইলের স্ক্রীণে তখন নির্দেশ আসবে - ' নিচের দিকে তাকাও ! লাফ দাও , মুক্তি পাও ! ' আপনি মুক্তি পেতে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন !

সেইফ থাকুন, সেইফ রাখুন বেশি বেশি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। 

Friday, October 6, 2017

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে অারেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ - চাকরির মেলা যশোরে

হাসান রহমান মাত্রই লেখাপড়া শেষ করেছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে।

মধ‍্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় পরিবারের কিছুটা চাপও রয়েছে তার উপর। টিউশনি করে আপাততো সংসার চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু একটা চাকরি প্রয়োজন তার। তাই তিনি এসেছেন যশোরে, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের চাকরি মেলায়।

শুধু হাসান নযন, তার মত হাজারো চাকরি প্রত্যাশীদের ভিড় শুরু হয়েছে চাকরি মেলাযটি। উদ্বোধনের পর থেকেই আগ্রহীরা তাদের বায়োডাটা নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে।

হাসান টেকশহরডটকমকে জানান, মেলায় এসে অনেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যা আগে জানতাম না। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সিভি জমা দিয়েছি। আশা করছি চাকরি পাব।

মেলায় ৩১টি প্রতিষ্ঠান তাদের জনবল নিয়োগের জন্য স্টল সাজিয়ে বসেছে। এছাড়া আয়োজনে বর্তমান ও আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির কর্মবাজার সম্পর্কে একাধিক সেমিনার এবং চাকরি প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত তৈরি ও সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

যশোর বিএল কলেজের ছাত্র ইব্রাহীম হোসেন টেকশহরডটকমকে বলেন, আমি বিবিএতে পড়াশোনা শেষ করেছি। অনলাইনের মাধ‍্যমে জানতে পারি চাকুরি মেলা হচ্ছে। তাই সিভি নিয়ে চলে আসলাম।

ডিপ্লোমা পড়ুয়া শিক্ষার্থী সেজান মাহবুব জানান, আইটি সাপোর্ট পদের জন্য তিনি চাকরির আবেদন করতে এসেছেন।

ওয়ালটনের কম্পিউটার বিভাগের প্রজেক্ট ম‍্যানেজার আবুল হাসনাত বলেন, এই মেলায় বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অনেক তরুণ চাকরির জন্য তাদের সিভি দিচ্ছেন। সেখান থেকে যোগ‍্য লোকবলকে চাকরি দেয়া হবে।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরামর্শক মুনির হাসান বলেন, জব ফেয়ার এর অর্থ এই নয় যে এর মাধ্যমে সবার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু এর মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমাদের তরুণরা জানতে পারবে আইসিটি সেক্টরে বিশ্ব এখন কোন পথে যাচ্ছে।

সকাল সাড়ে নয়টায় চাকরি মেলাটির উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, এমসিসি, অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কাজি আইটি সেন্টার, ফিফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, ওয়ালটন কম্পিউটার্স, ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়াস লিমিটেড, যশোর আইটি, প্রিনিয়র ল্যাব, এনআরবি জবস, ওয়াটার স্পীড, উৎসব টেকনোলজিস লিমিটেড, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড, এম্বার আইটি লিমিটেড প্রভৃতি।

#DigitalBangladesh
#ICTdivision
#v21

সৌদি বাদশার সফর সঙ্গী ১৫০০ জন, খাবার ৮০০ কেজি সাথে উড়োজাহাজে সোনার সিড়িঁ

সৌদি বাদশাহর রাজকীয় সফর বলে কথা! রাশিয়া সফরে তাঁর রয়েছে দেড় হাজার সঙ্গী। সঙ্গে সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি ও বিশেষ কার্পেটও রয়েছে। এ সফরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Saudi 


ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, গত বুধবার রাতে চার দিনের সফরে রাশিয়ায় পা রাখেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় তিনি ব্যবহার করেন সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি। কিন্তু বিধি বাম। হুট করেই নষ্ট হয়ে যায় সেই সিঁড়ি। এতে সিঁড়ি ভেঙেই নামতে হয় ৮১ বছর বয়সী বাদশাহকে। পরে রুশ পুলিশের গাড়িবহর তাঁকে মস্কোর ভেতরে নিয়ে যায়।
সৌদি কোনো বাদশা এই প্রথম রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করছেন। দুই দেশই এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে।
রাশিয়া সফরে সৌদি আরবের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাদশাহ সালমান। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র কেনার চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। এ ছাড়া তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার বিষয়েও আলোচনা করছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। সিরিয়া সংকটসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামরিক, বাণিজ্যিক ইস্যু আলোচিত হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি বাদশাহর সফরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, সফর উপলক্ষে প্রায় ৮০০ কেজি খাবার আনা হয়েছে রাশিয়ায়। বাদশাহর সফরসঙ্গীরা কিছু ব্যক্তিগত কর্মচারীও নিয়ে এসেছেন। যে হোটেলে বাদশাহ আছেন, সেখানকার কর্মচারীদের পরিবর্তে কিছু ক্ষেত্রে এসব রাজকীয় কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারণ রাজকীয় কর্মচারীরা জানেন, কীভাবে এসব সফরসঙ্গীর পছন্দের খাবার বানাতে হয়।
বাদশাহ সালমান যে হোটেলে আছেন, সেখানে তিনি নিজস্ব আসবাব ব্যবহার করছেন। এগুলো সৌদি আরব থেকে নিয়ে এসেছেন তিনি।
রাশিয়ায় দুটি হোটেল বরাদ্দ নিয়েছে সৌদি সরকার। একটি হলো দ্য রিটজ কার্লটন ও দ্য ফোর সিজনস। বাদশাহ ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সুবিধার জন্য ওই দুই হোটেলে আগে থেকে কক্ষ ভাড়া নেওয়া কিছু ব্যক্তিকেও বের করে দেওয়া হয়। কারণ অপরিচিত মানুষ থাকলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না সফরসঙ্গীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ফোর সিজনস হোটেলের এক দ্বাররক্ষী বলেন, পুরো হোটেলটি ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে সাধারণ মানুষ এতে ঢুকতে পারবেন না। তবে দুই হোটেলের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
রাশিয়ার ফেডারেশন অব রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হোটেলিয়ারস নামক সংগঠনের সহসভাপতি ভাদিম প্রাজভ বলেন, সৌদি বাদশাহর সফরকালে এ দুই হোটেলের বুকিং ফি হলো ৩০ লাখ ডলার। এর বাইরে রয়েছে, খাবার, স্পা ও অন্যান্য সেবার ভাড়া।
তবে শুধু সৌদি বাদশাহ নয়, বিশাল বহর নিয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার তালিকায় নাম আছে মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরও। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়া সফর করেছিলেন। ওই সময় গুলিরোধক লিমোজিন গাড়ি ও সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে মস্কো এসেছিলেন তিনি।
ব্লুমাক 

Friday, September 29, 2017

ছবিই বলছে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন কতটা বর্বর ছিল

ছবিই বলছে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন কতটা বর্বর ছিল

গত ২৫ অগাস্ট থেকে নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অব্যাহত হামলা চালায়। সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের আগুন কেড়ে নিয়েছে রোহিঙ্গাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁইটুকু।

তবু বারবার মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সরকার কিংবা দেশটির নেত্রী অং সান সু চি মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে এসব অজুহাত ধোপে না টিকে বিশ্বমহলে জোগাড় করেছে কঠোর সমালোচনার আর নিন্দা।
ধ্বংস্বাত্মক রাখাইনের গ্রামগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালাগুলো সে বার্তায় দিচ্ছে, কতখানি নির্মম ছিল রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন। বার্তা-সংস্থা রয়টার্স পুড়ে যাওয়া উত্তর রাখাইনের মংডুর একটি গ্রামে সেনাবাহিনী অগ্নি-তাণ্ডবের ধ্বংসাবশেষ তুলে ধরেছে ছবিতে।


save rohingya

নৃশংসতার আগুনে পুড়ে কঙ্কাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রাখাইনের গাছপালাও যেন তুলে ধরেছে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর কঠোর ও অমানবিক তাণ্ডবের কথা। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, দলগত ধর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করছেন।
তারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনারা নারী, তরুণী ও কিশোরীকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে গণ-ধর্ষণ করছে। ঘরে বন্দি করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সেনাবাহিনীর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতাকে মানবতা-বিরোধী অপরাধের শামিল বলে মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক গণ-আদালত। 

একটি অপদার্থ বালকের গল্প : লেখক ফয়জুল হক --------------------(- _- )------------------ আম...