Make money by Ojooo

Saturday, March 25, 2017

You will win: Michael Jackson

 তুমিই জয়ী হবে: মাইকেল জ্যাকসন

You will win: Michael Jackson
আট বছর বয়স থেকেই মঞ্চ মাতানো শুরু। জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডদলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটি এ সময় পরিচিতি পান নিজের নামেই। শুধু গান নয়, নাচ, ফ্যাশন—সবকিছুতেই মাইকেল জ্যাকসন (১৯৫৮—২০০৯) ছিলেন অনবদ্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে দিয়েছে সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনারের খেতাব। পেয়েছেন কিং অব পপ উপাধিও। পাশাপাশি কাজ করে গেছেন সারা বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’ ফাউন্ডেশন গড়েছেন এ কাজের জন্য। ২০০১ সালের ৬ মার্চ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ‘হিল দ্য কিডস’ উদ্যোগটি পরিচিত করার জন্য এ বক্তব্য দেন তিনি।
https://best21blog.blogspot.com/
Michael Jackson

এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার কী কী যোগ্যতা আছে—সে কথা বলেই বোধহয় শুরু করা উচিত। বন্ধুরা, আমার আগে এখানে যাঁরা বলে গেছেন, তাঁদের মতো পড়াশোনা আমার নেই। ঠিক তেমনই আমার মতো ‘মুনওয়াক’ করার ক্ষমতাও তাঁদের নেই। তবে একটা দাবি আমি করতেই পারি, বেশির ভাগ মানুষের তুলনায় দুনিয়াটা আমার অনেক বেশি দেখা হয়েছে। শুধু কাগজ আর কালিতে তো ধরা যায় না মানুষের জ্ঞান। হূদয়ে যে কথা লেখা হয়ে থাকে, আত্মায় যা গেঁথে যায়, শরীরে যা খোদাই হয়ে যায়, সেসব মিলিয়েই তৈরি হয় মানুষের জ্ঞান। {Just the knowledge of paper and ink, it can not be taken. It is written in the hearts, the spirit in which it is built, carving, which is the body, which is made of its knowledge}আর এই জীবনে আমি যত কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, তাতে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আমার বয়স মাত্র ৪২! অনেক সময় আমার মনে হয় বয়স বোধ হয় ৮০ ছাড়িয়ে গেছে।আমার অর্জনগুলো দিয়ে কিন্তু আমার ভেতরের মানুষটাকে চেনা যাবে না। ভক্তদের সামনে রকিন, রবিন বা বেন গাইতে থাকা পাঁচ বছরের শিশুটি আর তার হাসির আড়ালে থাকা শিশুটি এক নয়। আমি পাঁচ বছর বয়স থেকেই গান গাইছি, নাচছি। কাজটা আমার জন্য খুব আনন্দেরও। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম গাছ-বাড়ি বানিয়ে, লুকোচুরি খেলে আমার শৈশবটা কাটাতে। আমার আশপাশের শিশুদের এমন জীবন দেখে হিংসা করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার। আমার কোনো শৈশব নেই— এই বোধটাই আমাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল।আমি এসব তোমাদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য বলছি না। আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বোঝানোর জন্যই বলছি। আজ শুধু হলিউডের শিশুরাই নয়, সারা বিশ্বেই শিশুরা ভুগছে এই বেদনায়, শৈশব না থাকার কষ্টে। এখন শিশুদের ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠার জন্য। যেন শৈশব খুব কষ্টের সময়। এটাকে তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যেতে হবে। আর এর ফলে শিশুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে মা-বাবা ও পরিবারের কাছ থেকে।এই বিচ্ছিন্নতা থেকেই যেন জন্ম নিয়েছে এক নতুন প্রজন্মের। আমি সেই প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি। আমাদের বাইরেটা ঝাঁ চকচকে—টাকা-পয়সা, দামি কাপড়চোপড়, বিলাসবহুল গাড়ি। কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা। এটা শুধু আমাদেরই যন্ত্রণা নয়, আমাদের মা-বাবারও।আজ আমি শিশুদের অধিকারের কথা বলতে চাই। প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি শিশুর এই অধিকার থাকবে:১. ভালোবাসা পাওয়া। ২. সুরক্ষা পাওয়া। ৩. মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হওয়া। হয়তো সে কিছুই করতে পারেনি, তবুও সে মূল্যবান। ৪. শিশুর সব কথা মন দিয়ে শোনা—তা খুব উপভোগ্য না হলেও। ৫. ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত একটা গল্প শুনতে পাওয়া—সন্ধ্যার খবর বা টিভি সিরিয়ালের সময়টা যাতে এ জন্য বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। ৫. স্নেহ পাওয়া—হয়তো মা ছাড়া আর কারও কাছেই শিশুটি সুন্দর নয়, তবুও।বন্ধুরা, আমাদের সব জ্ঞানের, বোধের শুরুটা হোক এভাবে—আমরা জানি আমাদের কেউ না কেউ ভালোবাসে।প্রায় ১২ বছর আগের কথা। আমার ব্যাড ট্যুরের আগে ছোট্ট একটি ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এল। সে আমাকে, আমার গান কত ভালোবাসে, সেসব বলল। ছেলেটি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল। তার মা-বাবার কাছ থেকে জানলাম, যেকোনো দিন সে মারা যেতে পারে। আমি ছেলেটিকে বললাম, ‘তিন মাসের মধ্যে আমি তোমার শহরে গান গাইতে আসব। তোমাকে আমার এই জ্যাকেটটা দিলাম। এটা পরেই কিন্তু তুমি আমার গান শুনতে আসবে।’ তাকে আমার পাথর বসানো দস্তানাও দিয়েছিলাম। সাধারণত আমি কাউকে দস্তানা দিই না। পরে শিশুটির শহরে গিয়ে শুনি সে মারা গেছে। তার সমাধিতে দেওয়া হয়েছে আমার সেই জ্যাকেট আর দস্তানা। তার বয়স ছিল মাত্র ১০। কিন্তু একটাই সান্ত্বনা, সে জেনে গিয়েছিল তাকে কেউ ভালোবাসে। তার মা-বাবা শুধু নন, আমার মতো একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষও তাকে ভালোবাসে। সে জেনে গিয়েছিল, এই পৃথিবী থেকে সে একা বিদায় নিচ্ছে না।পৃথিবীতে আসার আগে আর পৃথিবী ছাড়ার সময় তুমি যদি জানতে পার, কেউ তোমাকে ভালোবাসে, তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিই খুব সহজ হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষকেরা তোমাকে তিরস্কার করতে পারেন, তোমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চাপ দিতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমিই জয়ী হবে। কীভাবে কেউ তোমাকে আটকাবে! তোমার তো ভালোবাসার শক্তি আছে। [Before leaving the earth, and the earth may know you, somebody loves you, it becomes very easy in any situation. The teachers can rebuke you, you can press officials. But in the end you will win. How can anyone prevent you! So you have the power of love.]
https://best21blog.blogspot.com/2017/03/a-p-j-abdul-kalams-inspiration-speech.html
michael jackson dancing performance
কিন্তু যদি এই শক্তিটা তোমার না থাকে, গোটা জীবন চলে যাবে তার খোঁজে। যত বিখ্যাতই হও, যত ধনীই হও, ভেতরটা তোমার ফাঁকাই রয়ে যাবে।কোথা থেকে আমাদের মধ্যে এত ক্রোধ, বেদনা আর সহিংসতা আসে! উত্তরটা আর খুঁজে বেড়াতে হবে না।কাজ শেষে মা-বাবারা বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু অনেকেই মাথাটা রেখে আসেন অফিসে। আর তাঁদের শিশুরা পায় মা-বাবার ছিটেফোঁটা মনোযোগ। তাদের মধ্যে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছাটাই মরে যায়। নিজের মতো করে বেড়ে ওঠে তারা। পেছনে ফেলে যায় মা-বাবাকে।আমি তোমাদের অনুরোধ করব, এমন ভুল তোমরা কেউ কোরো না। যদি ভাবো, মা-বাবা তোমাদের অবহেলা করেছেন, তাঁদের ক্ষমা করে দাও। তাঁদের শেখাও, কীভাবে ভালোবাসতে হয়।আমার বাবা ছিলেন বেশ দক্ষ একজন ব্যবস্থাপক। আমি ও আমার ভাইয়েরা সাফল্যের জন্য তাঁর কাছে ঋণী। তিনি কোনোদিন আমার সঙ্গে খেলেননি। আমার চোখে চোখ রেখে বলেননি আমাকে তিনি কত ভালোবাসেন। আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসতাম। কিছুদিন পরপরই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম রান্নাঘরে আমার জন্য এক ব্যাগ ডোনাট রাখা আছে। আমার বাবা কোনোদিন আমাকে সেটা বলেননি। কত দিন ভেবেছি, রাতে জেগে থাকব আর তাঁকে ডোনাট রাখার সময় ধরে ফেলব। কিন্তু আমি এই মজার খেলাটা নষ্ট করতে পারিনি এই ভয়ে, তিনি হয়তো আর কোনোদিন আমার জন্য ডোনাট আনবেন না।তিনি আমার জন্য কী করেননি, সেসব নিয়ে আমি আর ভাবি না। তিনি কতটা করেছেন, সেটাই ভাবি।বাবা খুব দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন। আমাদের বড় পরিবার চালাতে হতো তাঁকে। ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন তিনি। এমন কাজ, যা আস্তে আস্তে অনুভূতিগুলো ভোঁতা করে দেয়। তিনি যে আমাদের সফল হওয়ার জন্য এত চাপ দিতেন, এটা কি খুব আশ্চর্যের? তাঁর শাসনটাকে আমি আজ ভালোবাসা হিসেবেই দেখি। সেই ভালোবাসা নিখুঁত নয়, কিন্তু ভালোবাসা তো! তিনি চাইতেন কেউ যেন তাঁর সন্তানদের ছোট করতে না পারে। আজ আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমার শুরুর দিকের রাগের অনুভূতিটা এখন ক্ষমায় পরিণত হয়েছে।এক দশক আগে গড়ে তুলেছিলাম দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিল দ্য ওয়ার্ল্ড। আমি এর সাফল্যে বিশ্বাস করি? আমি কি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীটার ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারব? নিশ্চয়ই করি। না করলে আজ আমি এখানে আসতাম না। কিন্তু এর শুরুটা হতে হবে ক্ষমা দিয়ে। কারণ পৃথিবীর ক্ষত সারিয়ে তোলার আগে নিজের ক্ষত শুকাতে হবে। আজ আমি বুঝি, আমি কখনোই পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে পারব না, যদি না আমার শৈশবের ক্ষতগুলোর কথা ভুলে যাই। তাই তোমাদের বলছি, মা-বাবাকে সম্মান করো। তাঁদের কাজের বিচার করতে যেয়ো না। তাঁদের সুযোগ দাও।ক্রোধ, হতাশা আর অবিশ্বস্ত এই পৃথিবীতেই আমাদের বাঁচতে হবে। বাঁচতে হবে ভালোবাসা, স্বপ্ন আর বিশ্বাস নিয়ে। যারা মনে করো তোমাদের মা-বাবা তোমাদের যথেষ্ট ভালোবাসেন না, তোমরা তাঁদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দাও। শর্তহীন ভালোবাসা দাও তাঁদের, যাতে তাঁরা নিজের সন্তানের কাছ থেকেই শিখতে পারেন কীভাবে ভালোবাসতে হয়।মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, দুর্বল কখনো ক্ষমা করতে পারে না। আজ তাই তোমরা শক্ত হও। শৈশবের ক্ষতের যা প্রভাব আজকের জীবনে পড়ছে, তা কাটিয়ে ওঠো।আজ থেকে শোনা যাক এক নতুন সংগীত। সে সংগীত শিশুদের হাসির। চলো সবাই মিলে সারিয়ে তুলি এই পৃথিবীর যত ক্ষত, বেদনা। সবাই সুখী হও।[ Mahatma Gandhi said, the weak can not forgive. So be strong today. Wounds of childhood, which is in effect today, it's up to overcome. Let's hear a new song from today. The music and laughter of children. Come together to cure the wounds of the world, the pain. Everyone will be happy.]TRANSLATE THIS PAGE OPEN IN GOO

Thursday, March 16, 2017

A P J Abdul Kalam's Inspiration speech


স্বপ্নপূরণের পথে : জয়নুলাবেদীন আবদুল কালাম কিছু কথা;

পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবেদীন আবদুল কালাম। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিজ্ঞানী। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ভারতের তামিলনাড়ুতে তাঁর জন্ম। জীবনে বহুবার নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশে প্রেরণাদায়ক ও উত্সাহব্যঞ্জক বক্তৃতা করেছেন এই ‘ভারতরত্ন’। সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল, ২০১০ জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণদের উদ্দেশে ‘জীবন, স্বপ্ন ও কাজ’-এর ওপর যে বক্তৃতা করেন এখানে তার নির্বাচিত অংশ।

A P J Abdul Kalam 

জীবনের লক্ষ্য: স্বপ্ন আর দৃঢ় সংকল্প

বন্ধুরা, সফল যাঁরা, কেমন তাঁরা—এ প্রশ্ন অনেকেরই। তুমি যদি কোনো সফল ও আদর্শ মানুষের জীবনের ইতিহাস চর্চা করো, দেখবে, শৈশবেই তাঁর মনে একটা স্বপ্ন বাসা বাঁধে। স্বপ্নটাকে সত্যি করার জন্য একটা দৃঢ় সংকল্প থাকে তাঁর। আর প্রতি পদে-পরিস্থিতিতে স্বপ্নটা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয় লক্ষ্য ছোঁয়ার কথা। আর কারও নয়, নিজের সত্যি গল্পটাই তোমাদের শোনাতে পারি।

[dreams and determination Friends, those who are successful, the question of how many they are. If you study the history of human life as a successful model, you see, it's a dream early in his nest. His dream is to have a strong determination. And her dream is reminiscent of the post-conditions to reach the goal. Not any more, I can hear your own true story.]

বয়স তখন সবে ১০। তখনো কিন্তু আমরা বিদ্যুত্ পাইনি। মনে আছে, সন্ধ্যা নামলে কেরোসিনের প্রদীপ জ্বালিয়ে পড়তাম। সেই কেরোসিন ছিল রেশন কার্ড দিয়ে কেনা! আমি তখন পড়ি পঞ্চম শ্রেণীতে। শ্রী শিবাসুব্রাহ্মনিয়া ছিল আমাদের সবার পছন্দের শিক্ষক। একদিন তিনি ব্ল্যাকবোর্ডে উড়ন্ত একটা পাখির চিত্র আঁকলেন। পাখিরা কীভাবে ওড়ে, উড়তে উড়তে কী করে তারা পথ পাল্টায়, তিনি তা শেখাচ্ছিলেন। ২৫ মিনিটের ক্লাস। এরপর তিনি জানতে চাইলেন, ‘বুঝতে পেরেছ?’ আমি দ্বিধাহীনভাবে বললাম, ‘না’। ক্লাসের অনেক ছাত্রই বলল, ‘বুঝতে পারিনি’। স্যার কিন্তু রাগলেন না। বরং বিকেলে আমাদের নিয়ে গেলেন রামেশ্বরাম সমুদ্রসৈকতে। জলের কলতান আর পাখিদের কিচিরমিচির গান, ওহ! এখনো ভুলতে পারিনি সেই সন্ধ্যার স্মৃতিটা। লেজ বাঁকিয়ে ডানা ঝাপটে পতপত শব্দে কী সুন্দর উড়ছে পাখিরা। কী আশ্চর্য, যেদিকে মন চাই সেদিকেই উড়ছে তারা। ‘বলো তো বন্ধুরা,’ স্যার জানতে চাইলেন, ‘ওড়ার জন্য পাখিদের ইঞ্জিনটা কোথায়?’ কিছুক্ষণ পরে আঁধার নেমে এল, কিন্তু আমরা এরই মধ্যে জেনে গেছি, পাখিরা ওড়ে নিজ জীবন আর ইচ্ছাশক্তির প্রেরণায়।সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম উড়ু উড়ু মন নিয়ে। বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে তারাদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ঠিক করলাম, বিমান-বিজ্ঞানী হব। পরের দিন স্যারকে গিয়ে বললাম, ‘স্যার, কীভাবে আমি বিমান-বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানতে পারব?’ তিনি বললেন, ‘আগে অষ্টম শ্রেণী শেষ করো। তারপর হাই স্কুলে যাবে। এরপর যেতে হবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। যদি তুমি সব ক্লাসেই ভালো করো, তবেই তোমার স্বপ্ন সত্যি হবে।’ কলেজে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ার পর আমি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করি। নিরন্তর শ্রম সাধনায় হয়ে উঠলাম একজন রকেট ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদ। সেদিনের দেখা স্বপ্নটা আমার এভাবেই সত্যি হলো।বন্ধুরা, তোমরা কামারশালায় গেলে দেখবে, কীভাবে আগুনে লোহা গলিয়ে নির্দিষ্ট ছাঁচের হাতুড়ি বানানো হয়। ঠিক একইভাবে তোমার জীবনের লক্ষ্যটাকে নির্দিষ্ট করতে হবে। স্বপ্ন দেখো আর দৃঢ় সংকল্প আঁকো মনের মধ্যে।চাই জ্ঞান চর্চামনের কোণে শুধু স্বপ্ন আঁকলেই তো হবে না। চাই নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান আহরণ। তা ছাড়া স্বপ্ন কখনোই সত্যি হবে না। জ্ঞান তোমাকে মহান করবে। জ্ঞান তোমাকে সফলতার দ্বারে ঠেলে নিয়ে যাবে। কাজ করার সময় নানা সমস্যা দেখা যাবে। কিন্তু মনে রাখবে, সমস্যা যেন কোনোভাবেই তোমার ওপর গুরুগিরি করতে না পারে। সমস্যাকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করবে না। সমস্যার সমাধান করেই এগোতে হবে তোমাকে। দেখবে সাফল্যরা কেমন সূর্যের মতো, তারাদের মতো তোমার চারপাশে ঝিলমিল করবে।কঠোর পরিশ্রমলক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই কঠিন পরিশ্রমী হতে হবে। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমার জীবন থেকে বুঝেছি, কেউ যখন কোনো স্বপ্ন পূরণের জন্য সচেষ্ট হয়, তার মনে এক ধরনের জেদ তৈরি হয়। ফলে তার কাজের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ে। স্বপ্ন আর কাজের মাধ্যমেই তৈরি হয় মেধা। মনে রাখবে, তুমি যতই বিশেষজ্ঞ হও না কেন, তোমাকে অবশ্যই প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে। কারণ, অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই। স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চাও, তোমার যত শক্তি তার সবটুকু প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।ব্যর্থতা জয় করার সাহসতুমি যখন কোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করবে, দেখবে সেখানে অনেক ধরনের সমস্যা আসবে। হয়তো সমস্যার সমাধান করতে পারছ না। নিজেকে ব্যর্থ মনে হতে পারে। তোমার মনে হবে, আর বুঝি সম্ভব না। কিন্তু সত্যিকারের সফল যারা, তারা ব্যর্থতাকে ভয় করে না। বরং তারা জানে, ব্যর্থতাকে জয় করেই এগোতে হবে। ব্যর্থ হলে প্রথমেই ধৈর্য ধরতে হবে। মনে রেখো, পরিস্থিতি সামলাতে হবে নিজেকেই। এ জন্য দরকার সাহস। নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা 
A P J Abdul Kalam

[All success in the world... is the result of indomitable spirit. So don't be anxious, just develop a 'can do' attitude. Nothing is impossible.  - A.P.J. Abdul Kalam ]


পৃথিবীতে কেউ শ্রেষ্ঠ হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। এটা একটা প্রক্রিয়া, যার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা একটা জাতি নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সফলদের একটা স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের পেছনেই তারা ছোটে। আগে থেকেই তারা প্রস্তুত থাকে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য। ব্যর্থ হলে তারা ভেঙে পড়ে না। বরং নতুন উদ্যমে কাজ করে যায়। নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তারা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। কিন্তু তারা নিজেদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। গতকাল যতটা কাজ করেছে আজ তার চেয়ে বেশি কাজ করে। আর প্রতিজ্ঞা করে, আজ যা কাজ করেছে তার চেয়ে বেশি কাজ করবে আগামীকাল। তুমিও তা-ই করো। এভাবেই শ্রেষ্ঠত্ব আসে। এভাবেই স্বপ্ন হয় সত্যি।

 তাঁর জনপ্রিয় একটি উক্তি হল---
সপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।

- এ পি জে আবদুল কালাম

Wednesday, March 8, 2017

Dhaka University's 50th convocation

Dhaka University's 50th convocation



যে ইউনিভার্সিটি আমাকে ফরম দেয়নি যোগ্যতা ছিলনা বলে,আজ আমি তার চ্যান্সেলর 
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনে মাননীয়

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আচার্য
ড: আব্দুল হামিদের কিছু মজার উক্তি-

১. প্রেমপত্র লেখা অসাধারণ একটি সাহিত্য ।
২.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পরলেও সব গুলো হলে

থেকেছি,রোকেয়া হল বাদে।

৩.রোকেয়া হলের আশেপাশে অনেক
ঘোরাঘুরি করতাম।
৪.বক্তৃতা দেবার সময় দর্শকদের মুখ দেখতে
হয়,যে তারা বক্তব্য গ্রহন করছে কিনা,কিন্তু
এখানে আমি কারো মুখই দেখতে পাচ্ছি না।
৫. আমার মেট্রিকে ছিল থার্ড ডিভিশনঢাকা
ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া দূরের কথা ফরমই
কিনতে পারি নাই। ভাগ্যের কি লীলা খেলা,আমি
আজকে ঢাকা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর!
৬. এক সময় গাউন পড়া ছেলেমেয়েদের
দেখলে হিংসা হত। এখন গাউন পরে বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাইসিনথেটিকের এই
কাপড়ে গরম লাগে। বাতাস ঢুকে না। মাননীয় ভিসি
কে অনুরোধ করছি সমাবর্তন যেন শীতকালে
করা হয়।
৭. বি.এ পরীক্ষায় পাশ করতে পারছিলাম না।
আত্মীয় স্বজন টিটকারি মারতেছিল। তখন আমি এক
জনসভায় ঘোষনা দিলাম আইয়ুব খান,মোনায়েম খান
পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আমি বি.এ পাশ করবো
না।


আপনি যদি পরীক্ষায় প্রথম হন,তাহলে প্রকৌশলী হবেন,আর যদি পরীক্ষায় খারাপ করেন ওই প্রকৌশলীর চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক আপনি হতে পারেন।শীর্ষ ধনী বিল গেটস বলেছেন,আমি হার্ভাটে তিনটি বিষয়ে ফেল করেছিলাম।আমার এক বন্ধু সব বিষয়ে হাইয়েস্ট মার্ক পেয়েছিল,আমার সেই বন্ধুটি আমার প্রতিষ্ঠানে সফট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করে।
আপনি যদি ভাল ছাত্র হন ডাক্তার হবেন,আর যদি ভাল ছাত্র না হন,তাহলে একটা হাসপাতালের মালিক হতে পারেন।
আপনি যদি ভাল ছাত্র হন সচিব হবেন,আর যদি ভাল ছাত্র না হন মন্ত্রী হতে পারেন।
কাজেই হতাশার আবরনে নিজেকে ঢেকে ফেলা নয়


Thursday, March 2, 2017

Primary concept of Namaj। নামাজের প্রাথমিক ধারণা

Primary concept of Namaj। নামাজের প্রাথমিক ধারণা


"সালাত" -এর আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ: ‘শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমা দ্বারা
শুরু হয় ও সালাম দ্বারা শেষ হয়’।
নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্‌ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের
নামায শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সি: نماز) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবি ভাষার সালাত শব্দের (আরবি: صلاة‎, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। বাংলা ভাষায় 'সালাত'-এর পরিবর্তে সচরাচর 'নামাজ' শব্দটিই ব্যবহৃত হয়। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম সালাত (একবচন) বা সালাহ্‌ (বহুবচন)। নামাজ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দৈনন্দিন নামাজ না পড়লে মুসলমান হিসেবে থাকা সম্ভব না। নামাজকে সেজন্য বেহেস্তের চাবিকাঠি বলা হয়।যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন। পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

দুনিয়াতে যে ছয়টি আযাব দেওয়া হয়। তা নিম্নরূপ।

১. তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা ।
২. আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।
৩. যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।
৪. তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।
৫. আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে 
মৃত্যুর সময় যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়। তা নিম্নরূপ।
১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩. মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে ।
কবরের মধ্যে যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়। তা নিম্নরূপ।
. তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২. তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩. আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের
জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।
আর বাকি তিনটি দেওয়া হবার রোজ হাশরের দিন কিয়ামতের ময়দানে।

নামাজ পড়া একজন মুসলিমের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, সেটি জানানোর ব্যাপারেই এ পোস্টটি।
নামাজ পড়ার ব্যাপারে কয়েকটি কোরান-হাদিসের বানী:

১) “আবু হুরাইরা (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যখন আদম সন্তান সিজদার আয়াত পাঠ করে, অতঃপর সিজদা করে তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে একপাশে সরে দাঁড়ায় এবং বলতে থাকে, হায় আমার পোড়া কপাল,
আদম সন্তানকে সিজদা করার নির্দেশ দেওয়া হলো সে সিজদা করলো। ফলে তার জন্য জান্নাত, আর আমাকেও সিজদার নির্দেশ করা হয়েছিল কিন্তু আমি অস্বীকার করেছিলাম, তাই আমার জন্য জাহান্নাম।” (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়)
২) “আবু যুবাইর (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায বর্জন করাই হচ্ছে ব্যবধান।”***(সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়)
৩) আল্লাহ তাআলা বলেন: “নিঃসন্দেহে নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে”। (সূরা আল আনকাবূত – ৪৫)
৪) তিনি (স) বলেছেন: “আমাদের দলভুক্ত হতে নামায তাদের আলাদা করে দেয় যারা নামায ছেড়ে দেয়, যারাই নামায ছেড়ে দিবে তারাই কাফির”। আত-তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত,২৬১; আলবানী কর্তৃক সহিহ হাদীস রূপে বর্ণিত।
৫) “আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণিত, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কাজটি আল্লাহর নিকট বেশী প্রিয়? তিনি বললেনঃ সময়মতো নামাজ আদায় করা।” (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়)
নামায না পড়ার ১৫ টি কঠিন শাস্তি

সালাতের শারীরিক/ স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
আমরা অনেকেই হয়ত জানি সালাত অর্থাৎ নামাজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শারীরিক উপকারিতা। আর মুসলিম হিসেবে আপনি এটাও হয়তো জেনে থাকবেন যে, নামাজের শ্রেষ্ঠতম অংশ হল সিজদা।
১) নামাজের সিজদা অনেকগুলো শারিরিক সমস্যা থেকে আমাদেরকে মুক্তি দেয়।
ক) সিজদাতে ব্রেইনে এবং মুখমন্ডলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি রক্ত সঞ্চালিত হয়। সেজন্য চিল্বলাইন(chilblain) নামক এক ধরনের চর্মরোগ এবং এজাতীয় আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
খ) ব্রঙ্কাইটিস (bronchitis) হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
গ) সিজদা করলে এবডমিনাল ভিসেরা(abdominal viscera) ডায়াফ্রামের(diaphragm) উপর চাপ প্রয়োগ করে,। যা ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
২) নামাজের রুকুতে যাওয়া কিংবা সিজদা যাওয়ার মাধ্যমে যে অঙ্গভঙ্গি করি, তা আমাদের মেরুদন্ডের বিভিন্ন রকম রোগ থেকে বাচিয়ে রাখে।
৩) নামাজে অঙ্গভঙ্গি ও শরীরের বিভিন্নরকমের নাড়াচাড়ার কারণে তার অর্শ(hemorrhoid) বা পাইল্স(piles) এবং হার্নিয়া (hernia) হবার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।
৪) সারাদিনের কাজের ব্যস্ততার মাঝে ৫বার নামাজ শরীর ও মনকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুলে, যা কর্ম উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়।
৫) শরীরের ভিতরে আলসেমিটাও দূর করে এ নামাজ
৬) নামাজের জন্য ৫বার অজু, শরীরের ময়লা দূর করে, যা বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়

Pray for the world


একটি অপদার্থ বালকের গল্প : লেখক ফয়জুল হক --------------------(- _- )------------------ আম...